Thursday, June 29, 2017

ঠান্ডা পানীয়তে এ কী!




যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় তিনটি কফি চেইনশপে ব্যবহার করা বরফে মল বা বিষ্ঠায়  থাকা ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। বিবিসির একটি অনুসন্ধানে এ বিষয়টি জানা গেছে।

এই তিনটি কফি চেইনশপ হলো কোস্টা কফি, স্টারবাকস ও ক্যাফে নিরো। বিবিসির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে তৈরি পানীয়তে ব্যবহার করা বরফে নানা মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া আছে। আর এসব ব্যাকটেরিয়া মূলত মল বা বিষ্ঠায় জন্মায়।

চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল হেলথের বিশেষজ্ঞ টনি লুইস বলেন, বরফে থাকা ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা ‘উদ্বেগজনক’। তিনি আরও বলেন, ‘খাবারে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া কোনো মাত্রাতেই থাকা উচিত নয়।’

কোস্টায় ব্যবহার করা বরফের ১০টি নমুনার মধ্যে সাতটিতেই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। আর স্টারবাকস ও ক্যাফে নিরোর ১০টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে পাওয়া গেছে বিষ্ঠায় থাকা কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া। এ ছাড়া এসব চেইনশপের ৩০টি শাখার ট্রে, টেবিল, চেয়ারও পরীক্ষা করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ টনি লুইস বলেন, এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া মানুষের দেহে রোগ সৃষ্টির অন্যতম উৎস।

কফি চেইনশপ কোস্টা বলেছে, এ ঘটনার পর তারা তাদের বরফ প্রক্রিয়াজাত-সংক্রান্ত নির্দেশিকায় আরও উন্নতি এনেছে এবং বরফের উপকরণ সংরক্ষণে নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে।

স্টারবাকস বলেছে, বিবিসির অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ ব্যাপারে নিজস্ব তদন্ত শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ‘বেশ গুরুত্ব’ দিয়ে দেখছেন তাঁরা।

একইভাবে ক্যাফে নিরোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, তদন্ত করে বিবিসির দাবির সত্যতা পেলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Wednesday, June 28, 2017

নিঝুম দ্বীপে বেড়াতে নিয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ!


নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের আবাসিক হোটেলে নিয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার করা এ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার ঈদের দিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই দুই ছাত্রী হাতিয়ার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণি ও দশম শ্রেণিতে পড়ে। এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল হাতিয়া পৌরসভার মো. আরিফ (২৮) ও ছোট দেল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামকে (২৬) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে দুই ছাত্রীকে নিঝুম দ্বীপের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা ঘটনাটি নিঝুম দ্বীপ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে রাত একটার দিকে দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং দুই যুবককে আটক করে। পরে এক ছাত্রীর বাবার করা মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আজ দুই ছাত্রীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ওসি আবদুল মজিদ।

র‍্যানসমওয়্যার! আপনার কম্পিউটার নিরাপদ?



বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গতকাল মঙ্গলবার ফের সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল লক করে দিয়েছে হামলাকারীরা। এসব ফাইলে ঢুকতে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অর্থ চাওয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন দেশে হামলার শিকার প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার মধ্যে আছে হাসপাতাল, সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। গত মাসেই একযোগে ৭৪টি দেশে সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এরপর এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। এ ধরনের আক্রমণ থেকে সুরক্ষার কয়েকটি উপায় জেনে নিন:

ম্যালওয়্যার ও র‍্যানসমওয়্যার
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন ভিলাসেনর বলেন, ম্যালওয়্যার কম্পিউটারের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়া পরিকল্পিত কোনো নেটওয়ার্কে আক্রমণ করে তথ্য বা ডেটা হাতিয়ে নেওয়া কিংবা কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। র‍্যানসমওয়্যার হচ্ছে, এমন এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা কম্পিউটারের দখল নেয় যাতে ব্যবহারকারীকে অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত ঢুকতে দেয় না।

যেভাবে কম্পিউটার আক্রান্ত হয়:
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফিশিং মেইল নামের ক্ষতিকর বার্তায় থাকা বিভিন্ন লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট থেকে কম্পিউটার আক্রান্ত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সান হোসেভিত্তিক অ্যান্টি র‍্যানসমওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যালওয়্যারবাইটের জ্যেষ্ঠ গবেষক জেরোমি সেগুরা বলেন, এ ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের পুরোনো পরামর্শটাই প্রযোজ্য। কখনো ইমেইলে আসা কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। কারণ, ব্যবহারকারীকে বোকা বানিয়ে তার কম্পিউটারে ক্ষতিকর কোড চালু করে দেওয়ার উদ্দেশ্য ম্যালওয়্যার ছাড়া হয়।

ক্ষতিকর এ প্রোগ্রাম ইমেইলের ওই লিংক বা অ্যাটাচমেন্টের আড়ালে লুকানো থাকে। যখন ব্যবহারকারী ওই লিংকে ক্লিক করে বা ডকুমেন্ট খোলেন তখন কম্পিউটার আক্রান্ত হয়। কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যায় ওই প্রোগ্রাম। তবে সম্প্রতি যেসব র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ ঘটেছে তা কিছুটা জটিল প্রকৃতির। গত মাসে ছড়ানো ওয়ানাক্রাই ও গতকাল রাতে ছড়ানো র‍্যানসমওয়্যার দুটি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে ফাঁস হওয়া একটি প্রোগ্রাম যা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে দ্রুত ছড়ায়।

র‍্যানসমওয়্যার যেভাবে কাজ করে:
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও সাইবার সিকিউরিটির অধ্যাপক পিটার রেইহার বলেন, র‍্যানসমওয়্যার নামটিই প্রকাশ করে যে, কম্পিউটারের ফাইল আটকে অর্থ নেওয়ার জন্য এটা করা হয়। কম্পিউটারে যত ফাইল পায় সব এনক্রিপ্ট করে ফেলে একটি বার্তা দেখানো শুরু করে। যদি ওই ফাইল উদ্ধার করে চান তবে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত একটি এনক্রিপশন কি বা প্রোগ্রাম চাবি ব্যবহার করে ফাইল আটকানো হয়। ওই চাবি সম্পর্কে তথ্য কেবল আক্রমণকারীর জানা থাকে। যদি অর্থ পরিশোধ করা না হয় তখন তথ্য পুরোপুরি মুছে ফেলার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।

গবেষক সেগুরা বলেন, র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ ঘটলে দাবি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় আক্রমণকারী। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ওয়ালপেপার পরিবর্তন করে কীভাবে অর্থ পরিশোধ করতে হবে সেখানে সে নির্দেশনা দেওয়া থাকে। বেশির ভাগ সময় ফাইল খুলে দিতে ৩০০ থেকে ৫০০ মার্কিন ডলার দাবি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থ পরিশোধ করা না হলে অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। মঙ্গলবারের আক্রমণে কম্পিউটার প্রতি ৩০০ মার্কিন ডলার করে চেয়েছে আক্রমণকারীরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা অবশ্য কোনো ধরনের অর্থ পরিশোধে নিরুৎসাহিত করেন।

যেভাবে র‍্যানসমওয়্যার এড়াতে পারবেন:
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, র‍্যানসমওয়্যার থেকে বাঁচার পূর্বশর্ত হচ্ছে-সতর্কতা। গবেষক ভিলাসেনর বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বা পরিচিত ব্যক্তির নামে আসা ইমেইল খোলার ব্যাপারে আগাম সচেতনতা জরুরি। এসব মেইলে যে লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট থাকে তাতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অবশ্য অধ্যাপক ভিলাসেনর বলেছেন, র‍্যানসমওয়্যার সমস্যার কোনো পূর্ণাঙ্গ সমাধান নেই। তবে এ ধরনের আক্রমণ থকে ফাইল সুরক্ষা রাখতে নিয়মিত তথ্য ব্যাকআপ রাখার অভ্যাস গড়তে হবে। এ ছাড়া নিরাপত্তা প্যাঁচ হালনাগাদ করতে হবে। হালনাগাদ ব্যাকআপ থাকলেই আর কোনো অর্থ হ্যাকারদের পরিশোধ করতে হবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত মাসের ওয়ানাক্রাই ও গতকালের আক্রমণের ক্ষেত্রে উইন্ডোজ সফটওয়্যারের দুর্বলতা কাজে লাগানো হয়েছে। উইন্ডোজের দুর্বলতা বা নিরাপত্তা ত্রুটি সারাতে সফটওয়্যার প্যাঁচ ছেড়েছে মাইক্রোসফট। তবে ওই প্যাঁচ সবাই হালনাগাদ করেননি।
সাম্প্রতিক হামলায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, ক্ষতিকর র‍্যানসমওয়্যারটির মধ্যে ‘ব্যাকআপ স্প্রেডিং মেকানিজম’ আছে। এতে পুরো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্যাঁচ না দিয়ে শুধু আক্রান্ত কম্পিউটারে প্যাঁচ দিলে লাভ হবে না।
তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ, এবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস।

কীভাবে বেঁচে ফিরলেন বলতে পারছেন না রাজ্জাক



‘কীভাবে বেঁচে গেছি, জানি না। এ রকম দুর্ঘটনা হলে মানুষ বাঁচতে পারে ভাবলে আমি বিস্মিত হচ্ছি। আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। মনে হচ্ছিল পানির নিচে ডুবে মারা যাচ্ছি।’

মঙ্গলবারের দুর্ঘটনাকে ‘মৃত্যুর মুখ’ থেকে ফিরে আসা হিসেবেই দেখছেন ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক। বুধবার বিকেলে বাগেরহাটের ফকিরহাটে নিজ বাড়িতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে যখন কথা হয়, রাজ্জাককে তখনো অনেকটাই বিপর্যস্ত মনে হচ্ছিল। দুর্ঘটনার বিষয় নিয়ে কিছুই বলার অবস্থায় ছিলেন না জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
গ্রামের বাড়ি ঈদ করে পরিবার নিয়ে ঢাকা ফেরার পথে গত মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন রাজ্জাক। দুর্ঘটনায় তাঁর গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশের জলাশয়ে পড়ে গেলেও সৌভাগ্যক্রমে রাজ্জাক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সবাই বেঁচে যান। সবাই শঙ্কামুক্ত।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে তাঁর গ্রামের বাড়ি ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের সৈয়দমহল্লা গ্রামে রয়েছেন।
রাজ্জাক বলেন, ‘আমি কথা বলার অবস্থায় নেই। কালকের দুর্ঘটনারও কোনো ব্যাখ্যা আমার জানা নেই। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ির মধ্যে আমি ও আমার পরিবার কীভাবে বেঁচে গেলাম, তা ভাবলে আমি বিস্মিত হচ্ছি।’
ঈদ শেষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন এই স্পিনার। সে সময়ে ওই গাড়িতে ছিলেন রাজ্জাকের স্ত্রী ইশরাত জাহান, দুই বছর বয়সী ছেলে রিশান, বড় বোন হাফিজা সুলতানা, ভাগনি রেহেনুমা তাসনিম ও মারিতা রাইনা এথিনা।
মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসায় শুভানুধ্যায়ীরা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, দুর্ঘটনায় তাঁর গাড়িটি যেভাবে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে, তাতে ওই গাড়িতে থাকা কারও জীবন থাকার কথা নয়।
রাজ্জাকের বেয়াই আবদুল্লাহ বনি বলেন, রাজ্জাক ঈদ করতে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ২২ রোজায় গ্রামের বাড়ি আসেন। মঙ্গলবার বিকেলে গাড়ি চালিয়ে ঢাকার পথে রওনা হন। বিকেল পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ার কাছে গাড়ির চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশে খাদে পানিতে পড়ে যায়। গাড়িতে থাকা সবাই কমবেশি আহত হন।
গাড়িতে থাকা রাজ্জাকের বড় বোন হাফিজা বলেন, ‘রাস্তায় চলতে চলতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এরপর গাড়িটি দুলতে থাকে। তখন আমি সবাইকে দোয়া পড়তে বলি। দোয়া পড়তে পড়তে গাড়িটি পানিতে পড়ে যায়। এরপর আর কিছু মনে নেই। কিছু সময় পর জ্ঞান ফিরে দেখি আমি পানির মধ্যে। পরে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ছুটে এসে আমাদের গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করেন। কীভাবে সবাই বেঁচে ফিরলাম তা বলে বোঝাতে পারব না। আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল, তাই হয়তো বেঁচে গেছি।’
একসময় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন রাজ্জাক। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকও ছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ এই বাঁহাতি স্পিনার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৫৩টি ওয়ানডেতে। নিয়েছেন ২০৭ উইকেট। এ ছাড়া ১২ টেস্টে ২৩ উইকেট এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টিতে ৪৪ উইকেট পান রাজ্জাক।

দুই হাতে বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্মিথ!



যে পারে, সে নাকি সবই পারে। ডান হাতে খেলতে পারে। বাঁ হাতে খেলতে পারে। ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে খেলতে পারে। বেসবল দিয়েও খেলতে সমস্যা হয় না। স্টিভ স্মিথ সেটাই করে দেখালেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য ছুটিতে। বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতি শুরু হবে আগস্টে। ঘরোয়া ক্রিকেটেরও ব্যস্ততা নেই। এই ‘অফ সিজনে’ অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক গেছেন নিউইয়র্কে। সেখানেই নিজের দুই হাতের কারিশমা দেখালেন স্মিথ।

বেসবলের দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ক্রিকেটটা সেখানে হালে পানি পায়নি। বেসবলই সই। নেটে সেই বেসবল দিয়ে কিছু ক্লিন হিট করে দেখালেন। প্রথমে ডান হাতে। এরপর স্ট্যান্স বদলে নিয়ে বাঁ হাতে। এরই একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করছেন, স্মিথের এই খেলা দেখে না আবার তাঁকে নিয়ে বেসবল দলগুলোর কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়!
স্মিথের বেসবল প্রেম অবশ্য নতুন নয়। ইউরোপে ছুটি কাটিয়ে তিনি আমেরিকায় গেছেনই বেসবল দেখার জন্য। বছরখানেক আগেও একবার এমন বেসবল-অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। সেবার বোস্টন রেড সক্সের তারকা ডাস্টিন পেড্রোইয়ার কাছ থেকে সরাসরি টিপস নিয়েছিলেন।
স্মিথ কবে দেশে ফিরবেন তা জানা যায়নি। এমনিতে দেশে ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলীয় শীতের প্রকোপ পড়লেও উত্তাপ কিন্তু চলছে। বেতন-ভাতা নিয়ে বোর্ড আর ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্বের এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। তবে এর মধ্যেই বাংলাদেশ সফরের আনুষ্ঠানিক দিকটা সেরে রাখছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
১০ আগস্ট থেকে ডারউইনে সাত দিনের ক্যাম্প করবে অস্ট্রেলিয়া। ১৪ আগস্ট তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে এখানকার মারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। নিজেদের মধ্যে দুই দলে ভাগ হয়ে ম্যাচটি খেলবে তারা। এরপর ১৮ আগস্ট রওনা দেবে বাংলাদেশের উদ্দেশে। বাংলাদেশেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা আছে তাদের। ২৭ আগস্ট ঢাকায় শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ৪ সেপ্টেম্বর সফরের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ!


পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ!


কুমিল্লা নগরের শাকতলা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

কিশোরীদের মধ্যে একজনের বয়স ১৪ বছর, আরেকজনের বয়স ১৩ বছর। তারা সম্পর্কে খালা-ভাগনি। এ ঘটনায় ওই দুই কিশোরী আজ বিকেলে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে।

কিশোরীদের একজন জানায়, সকালে তারা শাকতলা এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ঠাকুরপাড়ার বাসায় যাচ্ছিল। পথে দুই বখাটে তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। একপর্যায়ে ওই বখাটেরা একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। তখন সেখানে আরও দুজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে পাহারা দিয়েছেন। একপর্যায়ে ওই কিশোরীদের ছবি তোলা হয় এবং তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। একই সঙ্গে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এরপর ওই কিশোরীদের পরিবারের সদস্যদের ডেকে এনে টাকা চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা আট হাজার টাকা দেবেন বলে আশ্বাস দিয়ে কিশোরীদের ছাড়িয়ে নেন।

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে এসে দুই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে জানান। তাদের পরামর্শে দুই কিশোরীকে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় পাঠানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ওই কিশোরীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। রাতেই তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। মেয়ে দুটির ডাক্তারি পরীক্ষা হবে।’

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর দক্ষিণ মডেল থানা-পুলিশকে বলা হয়েছে।’



Thursday, June 22, 2017

১৭ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করার সুবিধা

খুব বেশি আগের কথা নয়, এই দশক শুরুর অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে বাল্যবিবাহ প্রচলিত। বর্তমানেও যে এই অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়েছে তাও জোর গলায় বলা যাবে না। জাতিসংঘের সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বেধে দেয়া যে আঁটটি লক্ষ্যমাত্রা(শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি) ছিল তার অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রাই বাংলাদেশ অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে(অনেক ক্ষেত্রে
কিন্তু বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয় নি। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত শ্রেণীর প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরাই অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের বিয়ে করে থাকে কিন্তু বিস্ময়কর তথ্য হল অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের বিবাহের হার উচ্চবিত্ত থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত সর্বত্রই প্রায় সমান। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে ৬৬% মেয়েদের ১৮ বছর হওয়ার হবার পূর্বেই বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়! কিন্তু পুরুষেরা কেন তাদের চেয়ে কম বয়সী মেয়েদের সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তা কি আমরা ভেবে দেখেছি? চলুন খুঁজে বের করি ১৭ বছরের নিচে মেয়েকে বিয়ে করার কারনগুলো
১। আধিপত্য-
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, পুরুষেরা সর্বত্র আধিপত্য বিস্তারে অভ্যস্ত। আর তাদের এই আধিপত্য বিস্তারের যে চর্চা তার বৃত্ত থেকে তাদের পরিবার এবং পরিবারের সদস্যরাও বাদ যান না। আর আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে স্ত্রীদের উপর স্বামীদের আধিপত্য বিস্তার অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাই, অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেই তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
২। অস্বস্তিবোধ-
বিস্ময়কর হলেও সত্যি, পুরুষেরা তার সমবয়সী মেয়েদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে অস্বস্তিবোধ করে। পুরুষের সমযোগ্যতা সম্পন্ন নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না- এই ধারণাই পুরুষকে তার চেয়ে অনেক কম বয়সী নারীকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করে।
৩। কুঁড়িতেই বুড়ি-
আমাদের দেশে পুরুষেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা লাভ করতে করতে বয়স প্রায় ৩০ এর কোঠায় গিয়ে পৌঁছে। আর আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারণা যে, মেয়েরা কুঁড়িতেই বুড়ি হয়ে যায়। তাই, স্বাভাবিকভাবেই স্বামী ও স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান আমাদের সমাজে অনেক বেশি।
৪। ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা-
পুরুষদের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে, তারা যখন বৃদ্ধ হয়ে যাবে তখন তাদের পরিচর্যা করবার মত কেউ থাকবে না। এমনকি সন্তানেরাও তাদের পরিচর্যা করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। তাই, কম বয়সী স্ত্রীই এই সমস্যার সমাধান। তাদের ধারণা স্ত্রী রা তাদের যথাযথ পরিচর্যা করতে কখনই অস্বীকৃতি জানাবে না।
৫। দীর্ঘ ও সুখের যৌন জীবন-
সাধারণত ৪০ এর পরেই অধিকাংশ নারীদের যৌন আবেদন ধীরে ধীরে স্তিমিত হতে থাকে। কিন্তু পুরুষদের যৌনাকাঙ্ক্ষা আরও দীর্ঘ সময় বজায় থাকে। তাই, সমবয়সী নারীদের বিবাহে অনেক পুরুষদেরই অনীহা রয়েছে। তাদের ধারণা অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করলে তারা দীর্ঘ ও সুখের যৌন জীবন লাভ করতে পারবে।

ঠান্ডা পানীয়তে এ কী!

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় তিনটি কফি চেইনশপে ব্যবহার করা বরফে মল বা বিষ্ঠায়  থাকা ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। বিবিসির একটি অনুসন্ধানে এ বিষয়টি ...